1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ ছেঁড়া চিরকুট--- খোশবুর আলী--- পর্বঃ ০২

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ছেঁড়া চিরকুট”

--------খোশবুর আলী

পর্বঃ দুই

রুহুল চোখ খুলেই এক অজানা অচেনা স্বপ্নময় পরীদের রাজ্যে এসে পড়ল। চারিদিক সাজানো গোছানো। সারি সারি ফুল বাগান, বাহারি রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে চারিদিকে। সেই ফুল গাছের ফাঁকে ফাঁকে চেনা অচেনা নানান ফল ঝুলছে গাছে গাছে। সেইসব ফুলে ফুলে পরী শিশুরা উড়ে উড়ে দল বেঁধে খেলা করছে। কেউ নাচছে কেউ গাইছে। পাখিদের উড়াউড়া, কিচিরমিচির গান, বন্ধন মুক্ত ঘোড়া ছানার মত যে যার মত ছুটে চলেছে। নেই কোন ঝগড়া ঝামেলা। শান্ত মিষ্টি পরিবেশ চারিদিকে। বাড়ি ঘরগুলো সাজানো গোছানো। সব কিছুই সোনার তৈরি, ঝকঝকে পরিস্কার। রুহুল এমন সুন্দর যায়গা কখনো দেখেনি তাই প্রথম দেখেই তাঁর মুখের ভাষা সে হারিয়ে ফেলেছে। মুহুর্তের জন্য সে যেন বোবা হয়ে গেছে। সম্ভিত ফিরে পেল যখন চামেলী তাকে বলল ----

চামেলীঃ চল আমাদের রাজ প্রাসাদ ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।

রুহুলঃ ওহ! হ্যাঁ, চল, কিন্তু আমি তো মানুষ, তোমাদের রাজ্যের পরীরা আমাকে  দেখে কেউ কিছু বলবে না তো?

চামেলীঃ তুমি যতক্ষন আমার সাথে আছো, তোমার কোন ভয় নেই।  

রুহুল তবুও মনে মনে খুব ভয় পেল। সে চামেলীর হাত ছাড়তে চাইছে না। তাই চামেলী তাকে বলল—

চামেলীঃ আমাদের রাজ্যে তোমাকে আর আমার হাত ধরে রাখার দরকার নেই। তুমি আমার পিছু পিছু চলে এসো।

চামেলীর পিছে পিছে রুহুল চলেতে লাগল।  

রুহুল কোন কথা বলছে না দেখে চামেলীই প্রথম বলল—

চামেলীঃ আমাদের রাজ্যটা তোমার কেমন লাগছে, কিছু বলছ না যে?

রুহুলঃ আচ্ছা, তোমাদের রাজ্যে শুধু শুখ আর শান্তিতে ভরা তাই না?

চামেলীঃ হ্যাঁ, কারণ এই রাজ্যটা সবার। তাই সবাই এখানে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করে। কেউ কাউকে শাসন করে না, কেউ কারো সাথে অন্যায় বা অত্যাচার  করে না, সবাই আমার বাবাকে রাজা হিসাবে মানে। এখানে দ্বিতীয় অন্য কোন পরী রাজা হওয়ার ইচ্ছা পোষন করে না। কারণ এখানে রাজা হওয়া খুব কঠিন। এখানে সারা রাজ্যের পরীরা আরাম আয়েস আমদ প্রমদ করার যতেষ্ঠ সময় পায় কিন্তু রাজার কোন আরাম আয়েসের সময় নাই। তাকে সমস্ত রাজ্যের পরীদের শুখ শান্তির  কথা ভাবতে হয়। তোমাদের রাজ্যের মৌমাছিরা যেমন দলগত ভাবে এক একটি চাক  গঠন করে, একটি মাত্র রানীর আদেশ মেনে সবাই যে যার মত কাজ করে চলে,  সবাই মিলে মিশে থাকে, রানী সকল সদস্যদের দেখা শোনা করেন। কেউ কারো সাথে খগড়া মারামারি করে না, ঠিক আমরা তাদের নিকট থেকেই শিক্ষা নিয়ে আমাদের রাজ্য চালায়।

রুহুল বিমোহিত হয়ে চামেলীর কথা শুনছিল। কি অসাধারণ উপমা দিয়ে চামেলী তাকে বুঝিয়ে দিল। চামেলী যেমন দেখতে সুন্দরী তেমন বুধিমতিও। অসাধারণ তাঁর বাচন ভঙ্গি। রুহুল পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে এসব কথা শুনছিল।

রাজ প্রাসাদের কাছাকাছি আসতে না আসতেই রুহুল দেখতে পেলো চারিদিকে  পরীদের আরো বেশী আনাগোনা। কেউ একাই কেউ বা কয়েক জন মিলে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছে আর যে যার কাজ করছে। চামেলীর বয়সের একটি পরী এগিয়ে এসে বলল –

পরীঃ প্রিয় রাজ কুমারী, আপনার সাথে ইনি কে? আগে তো কখনো দেখিনি? ইনি তো আমাদের রাজ্যের বলে মনে হচ্ছে না?  

চামেলীঃ হ্যাঁ সখি। ইনি আমার নতুন বন্ধু। ইনারা পৃথিবীর মানুষ্য রাজ্যে বাস করেনআমি তাঁকে আমাদের রাজ্যে আমন্ত্রণ করে এনেছি।   

পরীঃ সু-স্বাগতম, প্রিয় রাজকুমারীর অতিথি।

চামেলী রুহুলকে ইশারা করে সেই পরীকে ধন্যবাদ জানাতে বলল। রুহুল তাই হাসি মুখে সেই পরীকে বলল—

রুহুলঃ ধন্যবাদ আপনাকে

পরীঃ আপনার আগমন শুভ হোক। বলে তাঁর কাজে ফিরে গেল।

রুহুল চামেলীর পিছু পিছু চলতে থাকলো।

এবার একদল পরী ছুটে এলো তাদেরকে স্বাগত জানাতে। হয়তো আগের সেই পরীটা এদের সবাইকে খবর দিয়েছিল। সবাই এসে এক সঙ্গে চারিদিক ঘিরে বলতে থাকলো—

স্বাগতম প্রিয় রাজ কন্যা, সু-স্বাগতম প্রিয় রাজ কুমারির অতিথি।

তাঁরা সবাই চামেলীর সমবয়সি। তাদের মধ্য একজন বলল—

পরী একঃ প্রিয় রাজ কুমারী আপনি এতক্ষুন কথায় ছিলেন?

পরী দুইঃ আমরা আপনাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে গেলাম।

পরী তিনঃ আপনি বুঝি এই অতিথিকে নিতে গিয়েছিলেন?

চামেলীঃ আরে থামো থামো তোমরা। এক সঙ্গে এত প্রশ্ন করলে কোনটার উত্তর দেব আমি।

 হ্যাঁ, তোমরা যেই অতিথিকে দেখছ, তাকে নিতেই পৃথিবীর মনুষ্য রাজ্যে গিয়েছিলাম। ইনি আমার নতুন বন্ধু। আমি তাঁকে আমাদের রাজ্য ঘুরিয়ে দেখাবার জন্য আমন্ত্রন করে এনেছি।  

পরী একঃ বুঝেছি বানু। আপনার মনে প্রেম জেগেছে মনুষ্য অতিথির জন্য।

খলখলিয়ে হেঁসে উঠল সব পরীর দল। রুহুল মুখটা কাচুমাচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল লজ্জাবতী মেয়ের মত।

চামেলী রুহুলের হাত ধরে বলল—

শোন সখিরা, তোমরা যত যা বলার আমাকে বলবে, কিন্তু আমার এই অতিথিকে কোন প্রকার অপমান করবে না।  

পরির দল বলে উঠল, প্রিয় রাজ কুমারী আমাদের বেয়াদবি মাফ করবেন,  আমরা শুধুমাত্র একটু মস্করা করলাম আরকি। সবাই চারিদিক ছড়িয়ে পড়ল, রঙ বেরঙের ফুল তুলে আনলো মুহুর্তের মধ্যে। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে চামেলী আর রুহুলের উদ্দেশ্যে তাঁরা দল বেঁধে গান গায়তে লাগল---

স্বাগতম সু-স্বাগতম

প্রিয় রাজ কন্যা,

তোমায় পেয়ে আজ মোদের

বইছে খুশির বন্যা।

চামেলী আর রুহুল হাঁটছে মাঝখানে আর সকল সাথিরা চারিদিল ঘিরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ছিটিয়ে তাদেরকে প্রাসাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে সারা রাজ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে পরী রাজ্যের রাজ কন্যা পৃথিবীর মনুষ্য রাজ্য থেকে একজন মানুষকে সাথে করে এনেছেন, ফলে সকল পরীরা দলে দলে রাজ প্রাসাদে জমায়েত হতে শুরু করেছে, সেই মনুষ্য অতিথিকে এক নজর দেখার জন্য।

তাঁরা যত প্রসাদের নিকটবর্তী হতে থাকলো, পরীদের দেখে রুহুল মনে মনে ভয় পেতে লাগল। চামেলী তাঁর মনের খবর বুঝতে পেরে তাকে পাশে টেনে নিল আর তাঁর হাত ধরে সামনে এগুতে থাকলো। তাঁরা রাজ প্রাসাদের চারিদিক একবার ঘুরে এলো। রুহুল যত দেখছে ততো আরো বিমোহিত হয়ে যাচ্ছে। প্রাসাটি সম্পুর্ণ সোনা দ্বারা তৈরি। এত সুন্দর পরিবেশ আর পরীদের আচরনে খুশিতে মনটা সেই পরীদের মত নাচতে চাইছে। কিন্তু সে নিজেকে খুব সাবধানে সামলিয়ে নিচ্ছে।

এর পর প্রবেশ করলো রাজ প্রাসাদে, চারিদিকে সব ফার্ণিচার গুলো সোনার তৈরি। রাজার আসনে চামেলীর পিতা বসে সভাসদের সাথে আলোচনা করছেন। দেখে মনে হল তাদের আলোচনার বিষয় ছিল চামেলীর মনুষ্য অতিথি।

রাজার সামনে গিয়ে চামেলী মাথা নত করে রাজাকে সালাম জানালে রুহুলও একই কাজ করলো। ফলে রাজা খুশি হলেন বলে মনে হল। তিনি চামেলী ও রুহুলকে তাঁর পার্শ্বের খালি আসনে বসতে ইঙ্গিত করলেন।   

তাঁরা গিয়ে আসনে বসলে রাজা গম্ভির কন্ঠে ঘোষণা করলেন

আমার প্রিয় সভাসদ, আমার একমাত্র কন্যা, যাকে আমি আমার প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি, সে কিছুদিন যাবত অসুস্থতা বোধ করছিলো। আমাদের অভিজ্ঞ হেকিমের পরামর্শে আমি আমার মেয়েকে প্রাসাদের বাহিরে যাবার অনুমতি দিয়েছিলাম। তাঁর যা ভাল লাগে তাই করতে বলেছিলাম। প্রয়োজনে আমাদের রাজ্য ছেড়ে অন্য কোন রাজ্যে যেতেও যদি মন চায় তারও অনুমতি দিয়াছিলামসে পৃথিবীর মনুষ্য রাজ্যে গিয়ে একজন অতিথিকে নিয়ে এসেছেন। তাঁর মুখে হাসি দেখে আমও খুশি হয়েছি। আমি আমার রাজকন্যার খুশির জন্য এমন আইন বিরোধী কার্য মানতে পারি না, যদি না আপনারা খুশি হয়ে মেনে নেন। এতে আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে অত্র সভাতে ঘোষণা দিন। রাজ্যের একজন পরীও যদি আমার মেয়ের এমন কার্য মেনে না নেয়, তবে আমি কথা দিচ্ছি, আমার মেয়েকে আপনাদের সামনে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।  

সকল পরীরা সমস্বরে বলে উঠল, আমাদের কোন অভিযোগ নাই মহারাজ কিন্তু আগত অতিথি সহ আমাদের সকলের জন্য আজ রাজ দরবারে ভোজের আয়োজন করতে হবে। আমরা অনেক খুশি হয়েছি রাজকুমারির খুশি দেখে।

রাজা বললেন—

ঠিক আছে বন্ধুবর, ভোজের আয়োজন করা হোক।

সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে হৈ হুল্লোড় শুরু হয়ে গেল। রাজা মশাই সকলকে ভোজ শালায় আমন্ত্রন জানিয়ে নিজেও ভোজশালার দিকে যেতে লাগলেন। সভাসদ সহ চামেলী ও রুহুল পিছু পিছু চলল।

কর্মিরা ইতিমধ্যে টেবিল সাজিয়ে ফেলেছে। সোনার টেবিলে সব সোনার বাসন পত্র। বাহারি রঙের ফলমূল দ্বারা সাজানো। ফল গুলিও সোনার। সবাই যে যার টেবিলে বসে পড়ল। কোন সমস্যা হচ্ছে না। সবাই জানে কার কোথায় যায়গা, ফলে কেউ কাউকে উঠতেও বলছে না, কেউ কারো যায়গায় বসছেও না। সবকিছি কেমন নিরবে ঘটছে। মনুষ্য জগতে হলে এতক্ষন কয়েকটি চেয়ার ভেঙ্গে যেত হুড়োহুড়ির কারনে। রুহুল আশ্চর্য হয়ে দেখছে। তাই চামেলী তাকে তাঁর পাশের চেয়ারে বসিয়ে নিল। সামনে রাখা ফলমূল গুলি সোনার তৈরি , তাহলে রুহুল খাবে কি করে? সবাই যে যার মত খাচ্ছে।কিন্তু রুহুল বসে আছে নিরবে। সে কিছুই খেতে পারছে না।  চামেলী রুহুলকে খাবার জন্য ইশারা করলো, কারণ সকল সখিরা রুহুলের চুপচাপ বসে থাকা লক্ষ্য করছিল। চামেলী বলল ভয়ের কারণ নাই, খাওয়া শুরু কর। রুহুল ভাবল আজ আমার আর বাঁচার উপায় নেই। এটা শেষ পরিক্ষা। সোনা মানুষের  খাবার জিনিস নয়, তবুও মানুষ কেমন এটার জন্য পাগল হয়ে যায়। রুহুল ভয়ে ভয়ে হাত বাড়িয়ে একটি আপেল তুলে নিল, চামেলী বুঝেতে পারছে রুহুলের মনের অবস্থা। তাই রুহুলের থালার উপর তাঁর হাতের ইশারা করতেই সব ফলগুলি পৃথিবী ফলের মত হয়ে গেল, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র রুহুলের জন্য। এবার সে সাহস ভরে আপেলটি খেতে শুরু করলো। কি সুস্বাদু আপেল। রুহুল তাঁর জীবনে এমন স্বাদের আপেল কখনো খায়নি। সব সখিরা এবার দেখতে পেল তাদের অতিথি সোনার ফলই খাচ্ছে। ফলে সবাই নিজ নিজ খাবার খেতে লাগল।

খাওয়া শেষে রুহুল চামেলীকে চুপ করে বলল—

রুহুলঃ আমার যেতে ইচ্ছা হচ্ছে না কিন্তু যেতে হবে, আমার পিতা মাতা আমার জন্য ভাববেন।

চামেলীঃ ঠিক আছে বন্ধু, চল আমি তোমাকে তোমাদের রাজ্যে রেখে আসছি।

তাঁরা প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বাগানের দিকে চলে গেল, চামেলী তাঁর সখিদের  পিছু পিছু না আসার জন্য ইশারা করলো। ফলে সখিরা প্রাসাদের দিকে ফিরে গেল।

রুহুল এতক্ষনে খুব সাহসি হয়ে গেছে, চামেলী তাঁর হাত ধরে বলল তুমি চোখ বন্ধ করে থাকো, আমি তোমাকে তোমার সেই স্কুলে যাবার রাস্তায় রেখে আসবোরুহুল চোখ বন্ধ করলে তাঁর শরীরে একটি ঝাকুনি অনুভব করলো। কিন্তু মনে মনে  ভাবল, চামেলি তো আমাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করছে, চোখা খুললে যদি কোন বিপদ হয়, সেই নিশ্চয় রক্ষা করবে। তাই সে তাঁর চোখ খুলল।  

অমনি চামেলীর হাত থেকে খসে পড়লো গহিন সুমুদ্রে। ডুবে যাচ্ছিল সে, কোন   রকমে হাত পা ছুঁড়ে পানির উপরে ভেঁসে থাকার চেষ্টা করতে লাগল। তাঁর হাত ছোঁড়াছুঁড়ি করতে গিয়ে লাগল খাটের রেলিং এর সাথে, যেই খাটে সে রাতে  খাবার পর শুয়ে শুয়ে সেই চিরকুট নিয়ে ভাবতে ভাবতে চামেলী পরীর স্বপ্ন দেখছিল। ঘুম  থেকে জেগে সে হাঁসফাঁস করছিলো, কারণ তখনো অনুভব করছিল, সে সুমুদ্রে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচে গেছে।

------চলবে--- আগামী পর্বঃ ০৩।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে।