1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

ধারাবাহিক উপন্যাস ডাংগুলি ____ খোশবুর আলী ( পর্বঃ-০৬)

                      “ছয়”

সেদিন রাতে সোহেল চৌধুরীর ভাল ঘুম হইনি। রাতে সে সব কথা স্ত্রীকে খুলে  বলেছেতাঁর স্ত্রী তাকে সান্তনা দিয়েছেন, আপনি ঠিক কাজই করেছেন। আগামী কাল আপনার পুলিশ বন্ধুকে ফোন করলেই মনে হয় খবর পাওয়া যাবে।

 

পরদিন সকালে সোহেল চৌধুরী তাঁর বন্ধুকে ফোন করলে তাঁর বন্ধু তাকে জানালো যে, তুমি চিন্তা করোনা, আমি চারিদিকে লোক লাগিয়েছি তাঁরা ভারতে পাচার করতে পারবে না, ফলে আমাদের পাতা ফাঁদে অবশ্যই পাঁ দেবে। কয়েক দিন ধর্য্য ধরো।

বন্ধুর আশ্বাস পেয়ে তাঁর মনকে সান্তনা দেবার চেষ্টা করে , কিন্তু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না এমন নিস্পাপ শিশুটি এখন কেমন আছে। আমি তাঁর বাবাকে খুঁজতে যাবার সময় কেন তাকে সাথে নিয়ে গেলাম না?  

জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। তাইতো সোহেল চৌধুরী নাস্তা সেরে তাঁর আড়তে চলে গেল। সারাদিন বিভিন্ন কাষ্টমারের সাথে তাঁর কথা হয়। সুযোগ পেলেই সে সবাইকে গতকালের গল্প শোনায়। সবাই তাকে সান্তনা দেয়।  

এভাবে কয়েকদিন কেটে গেলমনার কোন খোঁজ সে পেল না। প্রতিদিন থানায় ফোন করে, তারাও একই কথা বলে।

প্রায় সপ্তাহ খানেক পর হঠাত একটি ফোনকল আসে। সোহেল চৌধুরী তাঁর  কাষ্টমারের কল ভেবেই প্রথমে সালাম দেয়। অপর প্রান্ত হতে একজন বলে –

আমি একটি ছেলেকে পেয়েছি গত কাল। সে এখুন আমার নিকট আছে।

তবে পুরস্কারের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে ছেলেটিকে আপনার নিকট ফেরত দেব।

          সোহেল চৌধুরী লোকটিকে বললেন, আপনি টেলিফোনের কাছেই থাকুন আমি একটু পরে আপনাকে জানাচ্ছি বলে ফোন রাখলেন। এবং সাথে সাথে মারুফকে (পুলিশ বন্ধু) কল করলেন,

মারুফ তাঁকে পরামর্শ দিলেন যে, তুমি বল ভাই আমি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে টাকা নিয়ে আসছি, আপনারা শিশুটিকে নিয়ে আড়ানী ষ্টেশানের পেছনের খেজুর  বাগানে আসুন। আমি আমার ফোর্স নিয়ে ছদ্দবেশে খেজুর বাগানে চার পাশ ঘিরে রাখছি। আর তুমি শুধু একটি ব্যাগ হাতে এক্ষুনি চলে এস আড়ানি ষ্টেশানে। আমি ষ্টেশানে পৌছে তোমার জন্য অপেক্ষা করব। তোমার আসতে লাগবে তিন ঘন্টা । এখুন বাজে সকাল দশটা ফলে তুমি দুপুর দু’টায় টাকা নিয়ে আসছি খেজুর বাগানে একথা জানাবে।  

 

সোহেল চৌধুরী ঠিক আছে বলে ফোন রাখলেন। সাথে সাথে সেই অপরিচিত নাম্বারে কল করলেন এবং মারুফের কথা মত সব কথা বললেন। লোকটি রাজি হল।

ফলে তিনি সেদিনের মত আড়তের কাজ বন্ধকরে ট্রেনে উঠলেন আড়ানীর উদ্দেশ্যে।

 

দুপুর একটা পনের মিনিটে ট্রেন এসে থামল আড়ানী ষ্টেশানে। সোহেল চৌধুরী নেমেই প্রথমে মারুফের খোঁজ করলেন। সোহেল চৌধুরী মারুকে চিনতেই পারেনি। সে লুঙ্গি পরে ও একটি মলিন শার্ট পরে ছদ্দবেশে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছিল সোহেল চৌধুরী, মারুফ তাঁর হাতটি খপ করে ধরে ফেলেছে। কে হঠাত তাঁর হাত ধরলো ঘুরে তাকাতেই হেসে ফেলল মারুফ। তাঁরা দুই বন্ধু কলাকুলি করে মারুফ বলল,

 

মারুফঃ এখুনো পঁতাল্লিশ মিনিট সময় আছে চল কিছু খেয়ে নি। আমার লোকজন বাগান গিরে রেখেছে কোন সমস্যা নাই। চল খেতে খেতে কি করতে হবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

সোহেল চৌধুরী লক্ষ করলো তাঁর বন্ধু সব কিছু প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে ।   কোমরে তাঁর পিস্তল, হান্ডকাফ সব কিছুই আছে। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নাই যে সে একজন পুলিশ অফিসার।

 

ঘড়ির কাটা ঠিক দুপুর দু’টায় কথা মত সোহেল চৌধুরী আগে আগে চলে আর  মারুফ দূর থেকে তাঁকে অনুসরন করে খেজুর বাগানে পৌছালো। সে একটি গাছের নিচে দাঁড়ালো কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। কিছুক্ষুন পর ঝোপের আড়াল থেকে একজন লোক বেরিয়ে এল। মাথায় লম্বা লম্বা চুল, গোঁফ ও বেশ লম্বা। কাছে এসেই বলল টাকা এনেছেন। সোহেল চৌধুরী হাতের ব্যাগের দিকে ইশারা করে দেখালেন, আর বললেন ছেলেটিকে নিয়ে আসুন।

 

লোকটি পেছন ফিরে তিনটা হাত তালি দিলেন। অমনি ঝোপের ভেতর থেকে একজন লোক একটি ঘুমন্ত শিশুকে কাঁধে করে নিয়ে এলেন।

সহেল চৌধুরীর বুঝতে অসুবিধা হল না যে, মনাকে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ানো হয়েছে।

 

তিনি তাড়াতাড়ি মনাকে নিতে যাচ্ছিলেন কিন্তু তাঁরা আগে টাকা চাইল। ফলে তিনি হাতের ব্যাগটা আগিয়ে দিলেন। এবং অন্য জনের নিকট হতে মনাকে নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। তাঁরা ব্যাগটি খুলে দেখতে যাচ্ছিল এমন সময় পাশের ঝোপ থেকে “হান্ডস আপ” বলে পিস্তল বাগিয়ে এগিয়ে এল মারুফ। তাঁরা ব্যাগ ফেলে দৌড় দিল কিন্তু কোন লাভ হলো না, মারুফের লোকজন আগে থেকেই চারিদিক ঘিরে রেখেছিল। তাঁরা তাদের কে ধরে ফেলল।

 

তাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে গেল মারুফের লোকজন আর মারুফ ও সোহেল মনাকে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের নিকট মনার চিকৎসার জন্যডাক্তার বললেন আমি  একটি ইজেকশান দিয়ে দিচ্ছি আপনি নাটোরে গিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করে দিবেন নয়লে শিশুটি মারা যেতে পারে কারণ- ওরা খুব বেশী পরিমান ড্রাগ দিয়েছে শিশুটিকে।

 

সেখান থেকে পুলিশের গাড়িতে করে বাঘা থানায় পৌঁছে সকল কাগজ পত্রের কাজ সেরে , গাড়িতে করেই রওয়ানা হলেন নাটোর মেডিকেলের অভিমুখে।

 

মেডিকেলে পৌঁছে মনাকে ইমার্জিয়েন্সিতে ভর্তি করে মারুপ সোহেল চৌধুরীর নিকট হতে বিদায় নিয়ে থানায় ফিরে এলেন।

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে।