পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
 1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ ছেঁড়া চিরকুট--- খোশবুর আলী--- পর্বঃ ০২

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ছেঁড়া চিরকুট” --------খোশবুর আলী পর্বঃ দুই রুহুল চোখ খুলেই এক অজানা অচেনা স্বপ্নময় পরীদের রাজ্যে এসে পড়ল। চারিদিক সাজানো গোছানো। সারি সারি ফুল বাগান, বাহারি রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে চারিদিকে। সেই ফুল গাছের ফাঁকে ফাঁকে চেনা অচেনা নানান ফল ঝুলছে গাছে গাছে। সেইসব ফুলে ফুলে পরী শিশুরা উড়ে উড়ে দল বেঁধে খেলা করছে। কেউ নাচছে কেউ গাইছে। পাখিদের উড়াউড়া, কিচিরমিচির গান, বন্ধন মুক্ত ঘোড়া ছানার মত যে যার মত ছুটে চলেছে। নেই কোন ঝগড়া ঝামেলা। শান্ত মিষ্টি পরিবেশ চারিদিকে। বাড়ি ঘরগুলো সাজানো গোছানো। সব কিছুই সোনার তৈরি, ঝকঝকে পরিস্কার। রুহুল এমন সুন্দর যায়গা কখনো দেখেনি তাই প্রথম দেখেই তাঁর মুখের ভাষা সে হারিয়ে ফেলেছে। মুহুর্তের জন্য সে যেন বোবা হয়ে গেছে। সম্ভিত ফিরে পেল যখন চামেলী তাকে বলল ---- চামেলীঃ চল আমাদের রাজ প্রাসাদ ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। রুহুলঃ ওহ! হ্যাঁ, চল, কিন্তু আমি তো মানুষ, তোমাদের রাজ্যের পরীরা আমাকে  দেখে কেউ কিছু বলবে না তো? চামেলীঃ তুমি যতক্ষন আমার সাথে আছো, তোমার কোন ভয় নেই।   রুহুল তবুও মনে মনে খুব ভয় পেল। সে চামেলীর হাত ছাড়তে চাইছে না। তাই চামেলী তাকে বলল— চামেলীঃ আম

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ ছেঁড়া চিরকুট ---খোশবুর আলী- পর্বঃ ০১

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস “ ছেঁড়া চিরকুট” -------খোশবুর আলী প্রথম পর্ব ঢং ঢং ঢং ঢং-----! কাঁটায় কাঁটায় বিকেল চারটায় স্কুল ছুটির বেল বাজল। ক্লাস থেকে শিক্ষকেরা কিছুক্ষন আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন।ফলে ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসের মধ্যে হৈ হুল্লোড় করছিল। বেলের শব্দ শোনার সাথে সাথে হুড়মুড় করে বেরোবার জন্য প্রতিযোগীতা শুরু হল। ফলে কারো বই  পড়ে, তো কারো কলম । কোন রকমে কুড়িয়ে নিয়ে দে দৌড়। ক্লাসে মোটামুটি শান্ত ছেলে বলতে   সেই রুহুল। কারো সাথে তেমন ঝগড়া ঝামেলা করে না। লেখা পড়াতেও তেমন ভাল না। সব ছাত্র  ছাত্রী বেরিয়ে যাবার পর রুহুল বের হয়। আজও তাই হল। সে মাথা নিচু করে সবে মাত্র দরজার বাইরে পা ফেলেছে অমনি সে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখল। হাত বাড়িয়ে তুলে নিল ছোট একটি চিরকুট। অনেক গুলো ভাঁজ করা। বাঁকি ছেলেরা ইতিমধ্যে অনেক দূরে চলে গেছে। রুহুল চিরকুট টির দিকে মনোযোগ দিল। খুব আলতো করে ভাঁজগুলো খুলতে লাগল। অনেক যায়গা ছেড়া। কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে সে পড়ার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু একি তাতে যা লেখা আছে তা পড়ে প্রায় অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা। লেখা আছে—   রুহুল, আমি তোমাকে ভালোবাসি, তোমার জন্য আমি জীবন দিতে পারি। তুমি কেনো আমার মনের ক

যদি রাত পোহালে শোনা যেত, অসাধারণ একটি দেশের গান। 01715673065

ছবি

উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলী” --খোশবুর আলী (শেষ পর্বঃ)

ছবি
শেষ পর্বঃ উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলী” --খোশবুর আলী ধুলা উড়িয়ে বীর দর্পে বীপ গাড়িটি এসে থামল কোয়েল গ্রামের হাটপাড়ার ইয়াসিন হাজীর বাড়ির সামনে। সবাই ভাবল পুলিশ টুলিশ হইতো হাজীর বাড়িতে এল  কোন বিষয়ে তদন্ত করার জন্য। তাই গ্রামের অনেক মানুষ ছেলে বুড়ো সবাই এসে হাজির হল । কিন্তু গাড়ি থাকে বৈতপুরের একজন মানুষ নামতে দেখে তারা আশ্চর্য্য  হল। এর পরে নামলো মনা। এবার তারা বলাবলি শুরু করল, ঘটনা কি? ইনি আবার কে? হাজী সাহেব বেরিয়ে এলেন, সামনে আসতেই মনা এগিয়ে গিয়ে সালাম দিলেন। মোসাফা শেষে হাজী সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন- হাজী সাহেবঃ আপনি কে? চিনলাম না তো বাবা। মনাঃ আমাকে তুমি করে বলেন চাচা। আমি আপনার ছেলের মত। হাজী সাহেবঃ তা কি মনে করে এলে বাবা? মনাঃ উনাকে চিনেন চাচা। হাজী সাহেবঃ হ্যাঁ, উনি তো বৈতপুরের মানুষ। মনাঃ চাচা, উনি আজ থেকে ঊনিশ বছর আগে কয়েকটা দুঃখী মানুষ আপনার বাড়িতে রেখে গেছিলেন, তারা কোথায়। হাজী সাহেবঃ আমার কাছে বুলছ ক্যান  বাবা? আমার বুলতে কিছুই নাই,   সবই আল্লাহর। ওরা আল্লাহর রহমতেই আছে। তুমি বিশু, বিশুর মা আর বোনের  কথা বুলছ তো? ঐযে বেড়ার ঘরটা, ওরা উটে থাকে। তবে পাঁচ ছয় বছর  আগে  বিশুর মা মার‍্যা গেলঝে।

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলী” ----খোশবুর আলী ( পুর্বঃ “উনিশ”)

ছবি
    ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলী”           ----খোশবুর আলী           পুর্বঃ     “উনিশ” তারিখঃ ১৫/০৬/২০২০   উবিশ শত ঊন্নব্বই সালের ১লা মে। খুব গরম পড়েছে এবার। বৈদ্যপুর গ্রামের মাঠগুলি ধুধু মরুভুমির মত খাঁ খাঁ করছে। কোথাও কোন জন মানুষের চিহ্ন নাই। প্রচন্ড খরায় গাছের ডালে পাখিরা পাখা মেলে মুখ হা করে গরমটাকে সামান্য হালকা করার চেষ্টা করছে। গ্রামের লোকজন সব নিজ নিজ গৃহে দুপুরের ঘুমে ব্যাস্ত। গ্রামের মাটির বাড়িতে খড়ের ছাওনি থাকায় ঘরে খুব একটা গরম থাকেনা। গাছে গাছে আমের কড়ালি(কচি কচি আম) ঝুলছে।  কিছু দুষ্টু ছেলের দল তখনও বাবা মাকে ফাঁকি দিয়ে জড় হল কাশেমের আম গাছের নিচে।সকলের হাতে লাটিম। তারা হৈ চৈ করে লাটিম খেলছিল।মাঝে  মাঝে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার সাথে সাথে ঘুর্নি বায়ু গ্রামের পোড়া ধুলি মাটি গুলি বৃত্তাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। দুষ্টু ছেলেরাও চোখ বন্ধ করে অনেকে ঢুকে পড়ল  সেই ঘুর্ণির মধ্য সাহস দেখাবার জন্য। গায়ে অনেক ধুলা লেগে গেল, এটা কোন ব্যাপার না, কাপড় খুলে দল বেঁধে ঝাঁপা ঝাঁপি শুরু করল নতুন পুকুরে। সারা গ্রাম জুড়ে গোসল করার উপযোগী একটি মাত্র পুকুর।     এবার সেখানে চলতে থাকলো

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলী” ----খোশবুর আলী (পর্বঃ “আঠার” )

ছবি
  ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলী”        ----খোশবুর আলী পর্বঃ  “আঠার”  তারিখঃ ০৭/০৬/২০২০            সেদিন ছিল বুধবার ১৯শে অক্টোবর। মনা চাকুরীতে যোগদান করার উদ্দেশ্যে বাবা-মার নিকট হতে বিদায় নিয়ে চলে এল রাজশাহীতে। এর মধ্যে দুইমাস গত হয়েছে মনা ও মৌ এর মধ্যে সরাসরি দেখা নাই। টেলিফোনে কথা হত প্রতিদিন । কিন্তু দেখা না হওয়াতে একে অপরের প্রতি আকর্ষন্টা আরো বেড়ে গেছে। তা ছাড়া উভয়েরই যথেষ্ঠ বয়স হয়েছে। মৌ যানতো মনা আসবে আজ। তাই বেশ সেজে গুজেই অপেক্ষা করছিল মনার জন্য। দরজা খুলতেই আজ মৌকে দেখে মনা বেশ আশ্চর্য হয়ে গেল। একি সুন্দরী লাগছে আজ মৌকে। জ্যান্ত পরি যেন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে। মনা মুখটা নিচু করে আস্তে করে মৌ এর কানের কছে মুখটি নিয়ে বলল— মনাঃ তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে, মনে হচ্ছে আমার স্বপ্নের রাজকন্যা আমার সামনে দাঁড়িয়ে। কেমন ছিলে সোনা? মৌ আজ মনার এমন আচরনে বেশ আশ্চর্য। কারণ তাঁর সাথে পরিচয়ের পর হতে কোনদিন মনার মুখে কোন প্রসংসা পায়নি। মনা সারাক্ষন তাঁকে শ্বাসনে রাখতো। মৌ এরও ভাল লাগতো তাঁর শ্বাসনে থাকতে। এতে তাদের পড়াশোনা যেমন  ভাল হয়েছে তেমন এক বাড়িতে থাকা সত্তেও চরত্রের কোন প্রকার নৈতিক অবক্ষয়