পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
 1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

“কুঁড়েমির ফল”

ছবি
বন্ধুরা, একটি আমার দেখা সত্য ঘটনা অবলম্বনে আজকের গল্প। “কুঁড়েমির ফল” পাঁচ বছরের মেয়েটি খুবিই ডানপিটে। কোন সময় চুপচাপ থাকেনা। সারাক্ষন ছুটে বেড়ায় সমস্ত বাড়িময়। রেবা খুব আদর করেন মেয়েকে। তাঁর স্বামী ইমন অবশ্য মাঝে মাঝে বিরক্তি বোধ করেন স্ত্রীর এমন আদিক্ষেতা দেখে। তিনি বলেন রেবা মেয়েকে এত আদর করনা শেষে তোমার আদরে, বাদর না হয়ে যায়। রেবাঃ কি আবল তাবল বল আমার মেয়েকে নিয়ে? এমন কুলক্ষনা কথা আর কখনো বলবে না। ইমনঃ ঠিক আছে। তবে পরে আফসোস কর না এই আমি বলে দিলাম। রেবাঃ ঠিক আছে আফসোস করব না। তুমি এখন কাজে যাও তো? ইমন রোজকার মত কাজে চলে যায়। কাজে যাবার আগে মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে বলে যেতে ভোলেনা। সুমি মায়ের নিকট বায়না ধরে, মা আজ স্কুলে যাব না। রেবা মেয়েকে বলে ঠিক আছ, আজ যাবি না কিন্তু কাল থেকে প্রতিদিন যাবি। সুমি আচ্ছা বলে দৌড়ে খেলতে বেরিয়ে যায়। মাঠ থেকে ফিরে ইমন রেবাকে জিজ্ঞেস করে, সুমি কি স্কুলে গিয়েছিল? রেবা অকপটে মেয়ের ভালমন্দ বিবেচিনা না করেই বলে ফেলে, হাঁ। ইমন স্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করে, নিজের খাওয়া দাওয়া সেরে আবার নিজ কাজে চলে যায়। এভাবেই চলতে থাকে তাদের জীবন। ইমন ভাবে মেয়ের ভালই পড়াশোনা চলছে

সকালের ছড়া

সকালের রোদ্দুর, মেজাজটা ফুরফুর, ঠান্ডাটা কমেছে, বৃষ্টিটা থেমেছে। পথঘাট ঝলমলে,আকাশটা টলটলে, পশু পাখি আনমনে, খাবারটা খুজে বনে। ঘৃহবধু যায় ঘাটে, কলসিটা নিয়ে কাখে, রাখাল বালক ছুটে, গরু নিয়ে যায় মাঠে। কৃষকের মুখে হাসি, ক্ষেতে তার জল বেশী। --------------------শুভ সকল কৃষক ভাইয়ের পক্ষথেকে। শুভেচ্ছান্তে, বৈদ্যপুরের কবি - ২৭/১০/২০১৯

“খুকুমনির শীত”

ছবি
“খুকুমনির শীত” মো. খোশবুর আলী----- ২৬/১০/২০১৯ শরতের শেষকালে শিড়শিড়ে হাওয়াতে, গায়ে কাটা দেয় তাই শীতেরই ছোঁয়াতে। গোসলের পানি গায়ে ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে, তাইতো খুকুমনি নাওয়া সারে আগে ভাগে। অল্প অল্প শীতে কাঁথা মুড়ে ঘুমাতে, ভারি মজা লাগে যেন শান্তির চুমুতে। খুকুমনি বলে মাগো, দেও মোরে কম্বল, মাঝে মাঝে লাগে শীত মিষ্টি না অম্বল। সকালে ঘুম হতে উঠে বেশ দেরিতে, লেপের গরম ছোয়া নাহি পারে ছাড়িতে। মক্তবের মৌলভী মাইকিং করে ভোরে, তাই শুনে খুকুমনি উঠে বেশ জোরে শোরে। হাত মুখ ধুয়ে ত্বরা, পোশাক পরিয়া লই, আমপারা নিয়ে সে, মক্তবে ছুটে যায়। জীনিসের বায়নাটা ভোলেনা সে কভুও,                                                                           চিড়া-মুড়ি চলেনা আর, ডালপুরি তবুও।   

মোঃ গোলাম মোস্তফা,

ছবি
বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদেরকে একজন সাদা মনের মানুষের গল্প বলছি। নাম মোঃ গোলাম মোস্তফা, পিতা- মৃতঃ আবু নাসার, গ্রামঃ বৈদ্যপুর, ডাকঃ বহরইল, তানোর , রাজশাহী। যেখানে সারা দেশে আওয়ামীলীগ নেতারা, ক্যাসিনো চালাচ্ছে, মদ গাঁজার আড়ত চালাচ্ছে, তখন তিনি একজন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা সেই নেশামুক্ত বৈদ্যপুর গড়ার লক্ষে কিছুদিন যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সেই সব লোকদের ধরে নেশা ছাড়াচ্ছেন, নিয়মিত মনিটরিং করছেন, তাদেরকে নিয়ে মিটিং করছেন এবং পুরস্কৃত করছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২০ জন নেশা খোর কে নেশা ছাড়িয়ে নামাজি বানিয়েছেন। তারা এখন সবাই নামাজ পড়ছেন। আপনারা সবাই সেই সাদা মনের মানুষ্টির জন্য এবং যারা নেশা ছেড়ে নামাজি হচ্ছেন তাদের জন্য দোয়া করবেন। মহান আল্লাহ তাদেরকে ভাল থেকে সতপথে চলার তাওফিক দান করুন- আমীন।

" থলের বিড়াল"

ছবি
গল্পটি সম্পুর্ন আমার কল্পনায় লেখা , এটি কোন বাস্তব ঘটনার অথবা দেশের পরিস্থিতির সহিত মিলে গেলে আমি দায়ী নয়।    গল্পের নাম- " থলের বিড়াল" অনেক দিন আগে গ্রামের এক প্রভাবশালি মোড়ল খুব আদর করে একটি মিনি বিড়াল পুষত। মালিক যা বলতো বিড়াল তাই মেনে চলতো। সে ঘরের কোন জিনিস এমনকি খাবার দাবার কোন কিছুই নষ্ট করতো না। কিন্তু পাশের বাড়িতে সুযোগ পেলেই খাবার চুরি করত। পাশের বাড়ির বৃদ্ধা মহিলাটিকে তাই প্রায় না খেয়ে থাকতে হত। এভাবে কিছু দিন গত হলে একদিন বৃদ্ধা মোড়লের নিকট নালিশ করল তার মিনি বিড়ালের বিরুদ্ধে। মোড়ল তার বিড়ালের গা নাড়তে নাড়তে বলল- আমার বিড়াল , দুধ , মাছ , মাংশ ছাড়া ভাত খাই না , আর সে কিনা তোর বাসি পান্তা খেয়েছে ? দূর হও আমার   সামনে থেকে বলে বুড়িকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিল। বুড়ি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে , মনের দুঃখে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছিল , পথিমধ্যে এক সাধু বাবার সাথে তার সাক্ষাত হল। সাধু বললেন বুড়িমা , তূমি কোথায় যাচ্ছ ? তোমার মুখ এতো মলিন কেন ? বুড়ি সকল বৃত্তান্ত খুলে বলল সাধু বাবার নিকট।সাধু বাবা বললেন বুড়ি মা তুমি একটি হুলো বিড়াল পুষতে শুরু কর। বুড়ি বলল হুলো বিড়াল কোথায়

জাগরণী গান,

ছবি
খুলে আঁখি দেখ তোর, নিরবেতে কাঁদে মা, তুই ছাড়া ভবে মোর, সবকিছু অচেনা। মা আছে বসে তোর, মুখ পানে চাহিয়া, সেই তুমি কেন এত, সুখে আছ ঘুমাইয়া । মলিন বদনে ডাকি, কেন জেগে উঠ না।। তুই ছাড়া ভবে মোর, সবকিছু অচেনা। আকাশ বাতাস কাঁদে, তোর মা এর কাঁদনে, জাগবে এবার ছেলে, সেই আশা বদনে। যেই দেশে জন্মেছ, সেই হল দেশ মা, তুই ছাড়া ভবে তার, সবকিছু অচেনা। সন্ত্রাসি, হায়েনারা, মাকে করে জার জার, লুটে পুটে খায় তারা, সম্পদ যত মার। জন্ম দাত্রি হলে, সেই শুধু নয় মা, তুই ছাড়া ভবে মোর, সবকিছু অচেনা। মা বলে এইবার, করে উঠ চিৎকার, ধরনি কাঁপে যেন, শোনে তোর হুংকার। পালাতে জুলুমবাজ, যবে দিশা পাবে না, তুই ছাড়া ভবে তার, সবকিছু অচেনা। মোঃ খোশবুর আলী---১০/১০/২০১৯

“বিদ্রহী গান”

ছবি
“বিদ্রহী গান”            মোঃ খোশবুর আলী- ০৭/১০/২০১৯ ওরে ও যুব সমাজ ঘুচিয়ে সক-ল লাজ,   পরে নাও যুদ্ধেরি সাজ, যতনে গড়তে হবে সমাজটাকে। ধর হাল শক্ত হাতে, সবাইরে নিয়ে সাথে, বদলে যাও ও বদলে দিতে, ভাল বাসার এ দেশটাকে। সমাজের অধঃপতন, দিন দিন হচ্ছে যখন, তুমি তা করে যতন, দূর কর ভাই নিশীর আঁধার। দেশটা চেয়ে আছে, তোমারি ত্যাগের পিছে, কর দূর ধুয়ে মুছ, আছে যত দুর্নীতির ঐ কাল দুয়ার। সমাজের রগে রগে, আসতের ছোয়া লেগে, দিন দিন উঠছে জেগে, অর্থলোভী স্বার্থপর ঐ মানুষ গুলি। তাদেরই ছায়া হতে, দেশকে মুক্তি দিতে, তোমাকেই হবে নিতে, শক্ত হাতে দমাইতে তাদের হোলি। চলবে--------!

সুখ পাখি

ছবি
            সুখ পাখি সুখি মানুষ খুজতে আমি ঘুরি দেশে দেশে, সুখ দেখি যাত্রাপালার মহারাজের বেশে। ভোর হলে জিঙ্গাসিলাম, তুমি কত সুখী, বলল সে মিছা রে ভাই আমরা যাহা দেখি। পেটের দায়ে করি অভিনয়, রাতেরি পালায়, বাড়ি হতে ফোন আসিল ঘরে খাবার নাই। টাকা কড়ি বহুত যাহার সুখী ভাবি তারে, সেই টাকার লাগিয়া এখুন জেলে পচে মরে। টাকা যার নাই সেইকি সুখী জিঙ্গাসিলাম তারে, কহিল সে স্ত্রী পুত্র থাকে অনাহারে। মধ্যবিত্ত ব্যাক্তি যারা, সুখী বুঝি তারা, চাহিদার হইনা গো শেষ, রোগে-শোকে ভরা। আমি তুমি কেউ সুখি নই তাইতো খুজি সুখ, সারা জীবন দেখিলাম না সুখ পাখিটার মুখ। মোঃ খোশবুর আলী—০৬/১০/২০১৯

মানুষ ও মনুষত্ত্ব

মানুষ ও মনুষত্ত্ব এখানে সমাজটার ই চারিদিকে গলদ ভরা ,   দেখ নিতি আর নৈতিকতা গেছে মারা ।   এখানে কিশোরি হয় বিয়ের আগে সন্তানের মা, দেখ ভাই কি ভাবে তে ঘটে যেন কেউ জানেনা । কখনো এক মহিলার দুইটি স্বামী একিই সাথে, কি অবৈধ কামে মত্ত তারা দিনে রাতে। কেউবা বিয়ে ছাড়া সংসার করে তাও শোনা যায়, কেউবা বিয়ে করে টাকার লোভে বউ বেচে খায়। শাশুড়ি যাচ্ছে চলে মনের ছলে মেয়ের বরের সাথে,   খবরের কাগজ খুলে দেখি যখন নিজের হাতে । ধর্ষন ও খুনের মামলা দেখ ভর্তি কোটে, অকারনে ঘটছে তাহা অহরহ পথে ঘাটে। শশুর ছেলের বউকে নিয়ে এখন হয়গো উধাউ, কোরানের বিধানেতে ইহা নেইতো কোথাও। দেবর ভাবির কথা তো যায়না বলা, দাল ভাত ভাবে সকল নোংরা পোলা। আমরা মানুষ নাকি পশু তাহা ভেবে না পাই, আমাদের মনুষত্ত্ব বিবেক বুদ্ধি গেল কোথায়। এভেবে চললে তবে মানতে হবে শেষ পরিনতি, আল্লার গজব থেকে বাঁচার আর নেইতো গতি। এসো সবে মেনে চলি খোদার বিধান, তবেই পেতে পারি মোরা শেষ পরিত্রাণ। মোঃ খোশবুর আলী---০৬/১০/২০১৯

“মাদকের মাদকতায়”

“মাদকের মাদকতায়” মাদকের মাদকতায় ছেয়ে গেল দেশটা, জানিনা হবে কি পরিনতি শেষটা। যেদিকে তাকায় দেখি ভরে গেছে মাদকে, মনে হয় জাতী মোর হেই হল বিবেকে। সোনার দেশের মানুষ আজ কেন নষ্ট, এ কথা ভাবিতে মনে লাগে বড় কষ্ট। প্রশাষন, জনগন, সবাই খাচ্ছে ধরা, দুদকে মাদক খায়, বিশ্বাস যায় করা? মাদক ধরিতে গিয়ে, পুলিশ খায় ডাল, নিউজ করিতে গিয়ে, রিপোর্টার মারে তাল। ইয়াবা হইছে বাবা, আজ দেখি সকলে, মদ, গাঁজা, হেরোইন, প্রাণ কাড়ে অকালে। বিজিবি ও আর্মির ব্যাগে পেল ইয়াবা, ইমাম, মোয়াজ্জিন তোবু, ধরা খেল বাহাবা। ডাক্তারের চেম্বারে ফেন্সিডিল পাওয়া যায়, বিদেশী মদ থাকে, ক্যাসিনোর আড্ডায়। রোহিংগা ক্যাম্প নাকি, ইয়াবাতে ছয়লাব, জেল খানার কর্মি করে, মাদকেতে বেশি লাভ। গাঁজা ভরে সিগারেটে, দাদু দেয় সুখটান, জর্দায় পান খেয়ে(দাদি)লাল করে মুখখান। এই ভাবে চললে, বাঁচা বুঝি হবে দায়, মানুষে মানুষ খাবে, ভেবে দেখ শেষ টাই। মোঃ খোশবুর আলী-----২৮/০৯/২০১৯