1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়? সূচনাঃ- কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal) শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনি...
“অতীতের দিনগুলি”
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
“অতীতের দিনগুলি”
================
প্রতিদিনের মত আজকের সকালটাও ছিল স্বাভাবিক।
যত সামান্য প্রাতরাশ সেরে আমার
খুকুমনিকে মক্তবে পাঠিয়ে কিছু লিখব মনে করে বসলাম। আজ যেন মাথায় তেমন কিছুই আসছেনা। কি লিখব, গল্প নাকি কবিতা।
কলমটি হাতে নিয়ে ভাবছি, ঠিক এমন সময় মসজিদের মাইকে ঘোষনা করা হলঃ
আজ সকাল ৯.০০ টা হতে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না। অতএব আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় খাবার পানি তুলে নিন।আমাদের দেশটা কতটা এগিয়েছে একবার ভাবুন তো। এই বিদ্যুৎ আজ থেকে মাত্র ১৬ বছর আগে আমাদের কল্পনার ও বাহিরে ছিল। যখন আমরা পড়ালেখা করেছি একটি হারিকেনে চারিদিকে গোল হয়ে বসে বাড়ির সকল ভাই বোনেরা একসাথে। আমার কথাটা অবস্য ভিন্ন ছিল। কারণ আমার পরিবারে আমি বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান।আমার অগ্রজ ভাই বোনেরা পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারনে তাদের পড়ালেখা বেশীদুর এগুতে পারে নি। একমাত্র আমি হাল ছাড়িনি।আমার স্কুলের খরচের জন্য আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া কালীন সময় হতে প্রায়ভেট পড়ানো শুরু করি। গ্রামে শিক্ষিত মানিষ ছিল না, তাই যারা তাদের ছেলে মেয়েকে ভাল ভাবে পড়াশোনা করাতে চান আর সেই কারনে শিক্ষিত লোক তথা প্রায়ভেট শিক্ষক পেত না। অগত্যা আমার নিকট বেশ ভিড় জমত প্রায়ভেটের। ক্লাস টু হতে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত মোটামুটি আট হতে দশ জন ছাত্র/ছাত্রী আমার সব সময়ই থাকত। ফলে একেক দিন একেক জনের পালা থাকত হারকেন আনার। তারা পালা করে হারিকেন আনতো আমাদের বাড়িতে , বাড়ির আঙ্গিনায় খেজুর পাতার পাটি পেতে সবাইকে গোল করে বসিয়ে দিতাম। আর আমি কার কিসে সমস্যা সেটি সারিয়ে দিতাম। বিনিময়ে মাসিক ২০ টাকা পেতাম। ফলে আমার মাসে প্রায় গড়ে ১৫০ টাকার মত আয় হত। এ থেকেই আমার পড়ার খরচটা আমি ভাল ভাবেই চালিয়ে নিতাম। উপরোন্ত কিছু থকলে তা দিয়ে আমার খুব সখের কবুতর কিনে পুষতাম। আমার বাবা ছিলেন বেশ দরিদ্র মানুষ তেমন কিছু দিতে না পারলেও বছরে একটি শার্ট বানিয়ে দিতেন আর দুটো লুঙ্গি কিনে দিতেন। এই পরে সারা বছর স্কুলে ক্লাস করতাম। শুক্রবার ছুটির দিন সেই শার্ট মা ধুয়ে দিতেন সাবান দিয়ে। বাবা অবস্য পরীক্ষার ফি-এর টাকাটা দিতেন। সেই সময় স্কুলে মাসিক বেতন লাগতো ২০ টাকা হারে যেটি আমার প্রায়ভেটের ইনকাম হতে চালিয়ে নিতাম। এই ভাবে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ে বিজ্ঞান বিভাগ হতে কোয়েল উচ্চ বিদ্যালয় হতে স্টার পেয়ে পাশ করলাম। যেটি ঐ বিদ্যালয়ের ইতিহাস হয়ে আছে। বিদ্যলয় স্থাপনের পর হতে এই ইতিহাস আর কেউ গোড়তে পারেনি। তবে ইদানিং গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে অনেকে। এভাবেই বহু কষ্টে পড়াশোনা চালিয়ে সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার সাথে সাথে আমাদের গ্রামে স্থাপিত নতুন দাখিল মাদ্রার পক্ষ হতে এবতেদায়ী সহকারী শিক্ষকের পদের একটি অফার পেলাম। সেটাকে তখন সোনার হরিণ মনেকরে সেখানে যোগদান করলাম। আমার গ্রাম থেকে অন্তত একজন চাকুরী জীবি মানুষ হিসাবে স্বকৃতি পেলাম। বেতন বিহীন চাকুরী তার পরেও কত সুনাম। অবস্য ২০০১ সালে মাদ্রাসাটি এম্পিও ভুক্ত হয়।এর ফাকে আমার গ্রাজুয়েশান শেষ করেছি। এখুন আমার গ্রামে পাকা সড়ক হয়েছে। একটি সাপ্তাহিক হাট মসজিদ মাদ্রাসা, ঈদগা সব কিছুর ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে ।.২০০৩ সালে গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। হাতে চাপা টিউবওয়েল এর বদলে অনেক বাড়িতে মটর বসেছে। আমার্ বাড়ির ছাদে লাগিয়েছি পানির টাংকি। ফলে মসজিদের মাইকে ঘোষনা শুনলে আমার স্ত্রীর তাড়াহুড়া লেগে যায় পানির জন্য। আমার বাড়ির আশেপাশের প্রায় ৫/৬টি বাড়ির লোক পানি খায় বিনা পয়সায়, তাদের সুবিধার জন্য আমি একটি ট্যাপ কল দিয়েছি রাস্তার পাশে। কত সুখ প্রাত্যহিক জীবনে। আর মত্র কয়েক বছর আগের সেই দিনগুলি এখুন শুধুই স্মৃতি।
------------------#লেখকঃ খোশবুর আলী।
বৈদ্যপুর, তানোর, রাজশাহী- ০৭/১২/২০১৯।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি
বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে।
(ইউসুফ মোল্লা স্বরণে) বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে। খোশবুর আলী ------------------------------------- তানোরের কৃষিতে, যিনি দিবানিশীতে ঢেলেছেন মাথার ঘাম, তিনি আর কেউ নন, মোদের দরদী হন ইউসুফ মোল্লা তাঁর নাম। ধানের নতুন জাত, গড়েছে তাঁহার হাত পুরাতনে আছে বীজ ব্যাংক, কৃষক চাইলে পেত, টাকা নাহি দিতে হত এভাবে গড়েছে নিজ র্যাংক। পথমাঝে দেখা হলে, দাওয়াত না দিতে ভোলে দাওয়াতে খাওয়াতো কতো কি? সুগন্ধি চালের ভাতে, আঁচারটা ছিল সাথে মুগের ডালে ছিল গাওয়া ঘি। সড়ক ও পতিত জমি, বনায়নে অগ্রগামী বাহারী ফলের ছিল ঝোঁক, কার জমি কার গাছ, ভাবেনি তো আগ-পাছ নিজ পর হোক বা না হোক। কৃষি বিজ্ঞানী ক্ষ্যাত, ইউসুফ মোল্লার মতো কৃষির প্রতি নিবেদিত প্রাণ আছে আর কয় জন, এতটা সরল মন তানোর এলে পায় তাঁর ঘ্রাণ। জাতীয় পদক পেল, কত্তোসব লোক এল কতো কথা হতো সেই মুখে, এখন ঘুমিয়ে আছে, কেউ নাই ধারে কাছে বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে। -------------------------------------------- বৈদ্যপুর, তানোর, রাজশাহী।---১৪/০৭...
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: রুমানা আলী
দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, ‘সরকার প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’ গত বুধবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ার ফলস চার্চে আয়োজিত এক সুধী-সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সম্মানে ওই সুধী-সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষক নিয়োগের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে। এখন আমরা শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান আরো উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছি। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধকল্পে সরকার স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এ লক্ষ্যে একনেক সম্প্রতি ১৬০ উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু করার অনুমোদন দিয়েছে বলে তিনি জানান। অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা আর সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি ও মাদরাসা শ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন