শিক্ষার আলো

পোস্টগুলি

"ফোনালাপ" ----------খোশবুর আলী

" ফোনালাপ" ---------- খোশবুর আলী খালাগে খালা ক্যামন আছিস ? হামারে বাড়িত ব্যাড়াতে আসিস। মাও ডাকিছে অ্যাসবু ক ' দিন , ফুলিরে বাড়িত যাব সেদিন। ক্যানরে ব্যাটা খবর কিছু , তোর খালু অ্যানছে লেচু । লেচু লিয়্যা অ্যাসপনি ক্যাল , তোর বাপ ন্যাতে দিবে গ্যাল। তুর মায়েক দে ধিনি , কধা বুলি একটুখানি। মাগে লে কথা বুল , এতওক্ষনে ব্যানছিস চুল ? খালা অ্যাসপে বুল্ল ক্যাল , হামাক আর পাড়িস না গ্যাল। এই লে ফোন কথা বুল , পরে বস্যা বান্ধিস চুল। বৈদ্যপুর--২৮/১১/২০১৯।

আরও পড়ুন

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ ছেঁড়া চিরকুট --------খোশবুর আলী পর্বঃ ০৮ (আট)

- আগস্ট ১৮, ২০২০

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ ছেঁড়া চিরকুট --------খোশবুর আলী পর্বঃ ০৮ (আট) তারিখঃ ০৯/০৮/২০২০ কিছুক্ষন পরে খালাও এসে রুহুলের পাশে বসলো। রুহুল খালাকে বললো- খালা ছাব্বর ভাই কই? খালাঃ গরু চ র‍্যা তে গেঝে খাড়ি র ধারত। এ ই তো বেলা গেলো, এঘুনি চল্যা অ্যাসবে। রুহুলঃ খালা আজ তুমারে বাড়ি এরকুম ল্যাগছে ক্যান? খালাঃ ক্যামনরে ব্যাটা? রুহুলঃ মুনে হচ্ছে চোর অ্যাসপে তুমারে বাড়িত আজ রাতেত। খালাঃ ও বুঝতে প্যারছি, ম্যালাদিন পর অ্যালু তো, তাই এরকুম ল্যাগছে। তুর ছাব্বর ভাই আসুক, অর সাথে থ্যাকলে ভালো ল্যাগবে নি। রুহুল উঠে দাঁড়ালো এবং বাড়ির বাহিরে গেল। খালাদের বাড়ির কোন বাহির দরজা নাই। ফলে চারদিক থেকেই চারটা গলি আছে বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য। তিন ভিটায় তিনটা মাটির ঘর আর পশ্চিম ভিটায় গরুর গয়াল ঘর। পুর্বদিকের ঘরে থাকে রুহুলের বড় মা-বাবা, (রুহুলের বাবার চাচাত ভাই)। তার পাশেই একটি ছোট্ট গোয়াল ঘর আছে। দক্ষিণে আকবোর ভাইয়ের ঘর, আর পশ্চিমে খালা আর ছাব্বর ভাই থাকে একটি ঘরে এবং পাশে আরেক ঘরে আজগোর ভাই। চারিভিটার ঘরগুলির মাঝে মাঝে একটি করে গলি আছে, সব দি ক থেকে ই বাড়িতে প্রবেশ করা যায়।

আরও পড়ুন

প্রিয় নেতা -------- খোশবুর আলী

- আগস্ট ১৭, ২০২০

প্রিয় নেতা ----------------------- খোশবুর আলী হে প্রিয় বাংলা মা, তুমি আমার মাতৃভূমি, তোমার কোলে জন্মে, বুকটা ভরে গর্বে, আবার-- দেখি তোমারই বুকে, শেঁকড়, বাকড়, শাখা পল্লব মেলে জাহির করে নিজের অস্তিত্ত, পরোক্ষণে— বিশদাঁত মেলে হায়েনার হুংকারে দংশন করে, তোমার পরতে পরতে ছড়িয়ে দেয়, জীবন নাশকারী বিষ। ধ্বংস করতেই যেন জন্মেছে সে। যার অস্তিত্বই ছিল না কোন কালে সে আজ সারথি মহারথী, কলংকের তিলক পরালো তোমার ভালে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহ থেকে বাঁচাতে যাকে ছায়ায় রাখলে ঢেকে, তারাই শেষে তোমার— রক্ত চুষে রক্তশূন্য করে তিলেতিলে মারলো, কালদাগ ভালে এঁকে। তোমারই দুধ কলা খেয়ে গড়লো দেহ, হলো বলবান, পিছু পিছু চলতো তোমার পোষা কুকুরের মতো— সুযোগ বুঝে মারলো ছোবল , মূলোৎপাটন করলো তোমার পরিবার সহ ছাব্বিশটি প্রাণ। হে মহান নেতা, কি করে ভুলি তোমায় আগষ্ট এলেই কাঁদে বাঙ্গালী, ফিরে পাবে কি আর সেই হুংকার, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব , এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। ভুলিনায় হে প্রিয় নেতা তোমায়, ভুলবোনা কোন দিন, তুমি থাকবে চিরদিন আমাদের

আরও পড়ুন