পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
 1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

ধারাবাহিকঃ উপন্যাসঃ - “ডাঙ্গুলী” --খোশবুর আলী (পর্বঃ – “পাঁচ”)

ছবি
     “পাঁচ” সোহেল চৌধুরী লোকজনের ভিড় ঠেলে তাঁর শিটের নিকট গিয়ে দেখলেন, সেখানে অন্য লোক বসে আছে, মনা নাই। তাই তিনি সীটে বসা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন — সোহেল চৌধুরীঃ ভাই, এখানে একটি আট নয় বছরের শিশু ছিলো কোথায় গেল। লোকটি বললঃ   কেন ? আপনার সাথের লোকই তো ওকে নিয়ে চলে গেল। সোহেল চৌধুরীঃ আমার সাথের লোক মানে? লোকটি বললঃ ওরা তো তাই বলল। শিশুটিকে চকলেট খাওয়াল। কোলে নিয়ে আদর করল, তারপর শিশুটি ঘুমিয়ে গেলে তাঁরা ওকে আপনার নিকট নিয়ে যাবে বলে চলে গেল। সোহেল চৌধুরীর বুঝতে অসুবিধা হল না যে, মনা, শিশু পাঁচার কারীর হাতে   পড়েছে। কিন্তু ট্রেন ততক্ষনে অনেকদুর চলে গেছে।   সোহেল চৌধুরীর মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল।   একজন কে খুঁজতে গিয়ে আরেক জনকে হারিয়ে ফেললাম? একদিকে শিশুটি তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, তাঁর বাবাকে হারিয়েছে আবার সে নিজেও এখন বিপদের মুখে। কি করা যায়। অনেক কিছু সে তাঁর মানস পটে দেখতে পাচ্ছে। যদি পাঁচার   কারিরা ভারতে পাঁচার করে ফেলে, তখন তো আর কিচ্ছু করার থাকবে না। আর   বাড়ি গিয়ে কোন ব্যবস্থা করতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে, তাই সে সিদ্ধান্ত নিল সামনের বাঘা ষ্টেশনে নেমে বাঘা থানায় একট

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ- ডাঙ্গুলী ---- খোশবুর আলী ( পর্বঃ-০৪ )

ছবি
                       “ চার ” সোহেল চৌধুরী মনাকে তাঁর সীটে বসিয়ে রেখে তাঁর বাবাকে খোঁজার জন্য উঠে গেলেন। বললেন- আমি না আসা পর্যন্ত তুমি এখানেই থাকবে , কেউ ডাকলেও যাবে না , কিছু দিলে নিবে না , ঠিক আছে ? ট্রেন ছাড়ার আগেই আমি ফিরে আসবো। প্রতিটি ট্রেনে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এর মধ্যে যেমন কিছু ভাল মানুষ থাকেন তেমন অনেক খারাপ মানুষও থাকে। রাজশাহী সিরোইল ইস্টেশান থেকেই মনাকে দু ’ টি লোক অনুসরণ  করছিল। এরা চোরা কারবারী। অসহায় নারী বা   শিশুদেরকে এরা সুযোগ বুঝে ভারতে পাচার করে। সোহেল চৌধুরীকে মনার নিকট থেকে সরে যেতে দেখেই তাদের মধ্যের একজন মনার নিকট এগিয়ে এল। লোকটির গায়ের পোশাক ঝকঝকে। বড় বড় গোঁফ। মাথায় বেশ লম্বা চুল। সে মনার কাছে এসে হাসি মুখে মনাকে জিজ্ঞাসা করল —  তোমার নাম কি বাবু ? মনাঃ মনা । লোকটিঃ তোমার বাবা কোথায় ? মনাঃ জানিন্যা। লোকটিঃ যে লোকটা তোমাকে রুটি কিনে দিল সে তোমার কে হয় ? মনাঃ জানিন্যা। হামাক কাকা ব্যুলতে বুলিছেলো হামার আব্বা। লোকটিঃ ও আচ্ছা। আমি বসি এখানে তোমার পাশে ? মনা মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিলে লোকটি বসে পড়লো।   কথা আর মিষ্টি হাসি দিয়ে লো

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ- “ডাঙ্গুলী”--খোশবুর আলী (পর্বঃ-০৩)

ছবি
           “তিন” ট্রেন ছুটে চলছিল নাটোর অভিমুখে। ট্রেন চলতে শুরু করলে মনা ভয় পেয়ে যায়, কারণ তার বাবাকে তখনও ট্রেনে দেখতে পাইনি। তার কাঁদো কাঁদো ভাব দেখে   পাশের ভদ্রলোক বলল — ভয় নেয় বাবু তোমার, চুপচাপ বসে থাকো, কিছুক্ষনের মধ্যে তোমার বাবা চলে আসবেন ।   ভদ্রলোকের নাম সোহেল চৌধুরী। নাটোরের বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের সন্তান সে। তিনি ধান-চালের ব্যাবসা করেন। ধান-চালের বিশাল আড়ত আছে তাঁর। ব্যাবসায়ীক কাজে রাজশাহীতে এসেছিলেন। কাজ শেষে ট্রেন যোগে তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষন কেটে গেল কিন্তু মনার বাবা আসার নাম নাই। মনার মুখের দিকে দেখে তাঁর কেন যেন একটু মায়া হল।গায়ে মলিন পোশাক। গ্রামের ছেলে মুখটাও কেমন যেন নিস্পাপ মনে হচ্ছে। তাঁর নিজের কোন সন্তান এখন পর্যন্ত হয়নি,   যদিও বিয়ে করা তাঁর প্রায় আট বছর পেরিয়ে গেছে। তাই তিনি মনাকে বসতে বলে   নিজেই উঠে মনার বাবাকে খুঁজতে লাগলেন। এদিক ওদিক খুঁজে কোথাও না পেয়ে তিনি ফিরে এলেন। এসে দেখতে পেলেন মনা কাঁদছে। ছেলেটির প্রতি তাঁর মায়া আরো বেড়ে গেল। তিনি   মনাকে জিজ্ঞাসা করলেন — সোহেল চৌধুরীঃ তোমার নাম কি বাবু? মনাঃ মনা। সোহেল চৌধুরীঃ আর কোন নাম

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ- উপন্যাসঃ - “ডাঙ্গুলী”--খোশবুর আলী (পর্বঃ – “দুই” )

ছবি
“ দুই ” গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাঁটছে তাঁরা। সারাদিন গরু চরিয়ে ক্লান্ত মনা , তাই বাবার সাথে হাঁটতেও পারছে না । ছোট ছেলে সে , বাবা জোরে হাঁটছে ফলে তাঁকে প্রায় দৌড়াতে হচ্ছিল। অন্ধকার রাত রাস্তার উচু নিচু কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না , তাছাড়া রাস্তায় তাড়াতাড়ি এগোবার  জন্য কখনও মেঠো সড়ক , কখনও বন বাদাড় আবার কখনও ধুধু প্রান্তর পেরিয়ে তাঁরা যখন তালন্দ হাটে পৌঁছালো  তখন মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের কন্ঠে আজান শোনা গেল। ততোক্ষনে মনা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ল। ফলে রাস্তার পাশে একটি টিউবওয়েল এর নিকট বিশ্রামের জন্য বসল। টিউবওয়েলের পানি দিয়ে সঙ্গে আনা কিছু গমের ছাতু গামছার আঁচলে মন্থন করে খেতে খেতে সকাল প্রায় হয়ে গেল। খাবার পরে পানি পান করে তাঁরা আবার হাঁটা শুরু করল তানোর অভিমুখে।  ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মনা বাবার সাথে হাঁটতে পারছে না , তাই সে তার বাবাকে বার বার জিজ্ঞেস করতে লাগল — মনাঃ আব্বা আর কদ্দুর ? বাবাঃ এইতো চল্যা অ্যালঝি ব্যাটা। মনাঃ আর হ্যাঁটতে পারছি না আব্বা। বাবাঃ ঐ   গাছটা দেখতে প্যাচ্ছিস, ওঢি গেলে পাকা রাস্তা পাওয়া য্যাবে। তঘুন আর হাঁটা ল্যাগবে না। মনা সেই গাছটার দিকে তাকিয়ে বাবার সাথে চলতে থাকল। পথ যেন কি

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ “ডাঙ্গুলি” ---খোশবুর আলী ( পর্বঃ ০১ )

ছবি
                         পর্বঃ- “এক” আজ বৃহস্পতিবার। ২০ শে এপ্রিল উনিশ শত উননব্বই সাল । মনা ফজরের আজানের সাথে সাথে উঠে টয়লেটে গিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে অজু করে ফজরের নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর  নকট তাঁর পিতামাতা, আত্মীয় স্বজন সবার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করলো। তাঁর পর নিজের চাকুরী ভবিষ্যৎ জীবন, সর্বপরি মৌ এর জন্যও দোয়া করলো। আজ মনটা তাঁর খুব হাল্কা লাগছে। মৌ আজ খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে। সেও ফজরের নামাজ পড়ে মনার জন্য নিজের জন্য তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য দোয়া করেছে। এবং সকাল থেকে মাকে রান্না ঘরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করছে। মেয়ের এমন পরিবর্তন দেখে  মা বেশ খুশি হল। কারণ মৌ এর এখন কিছু কিছু রান্না বান্না শেখা দরকার। মেয়ের বিয়ে দিলে স্বামীকে অন্তত রান্নাকরে খাওয়াতে পারবে। তাই খুটিয়ে খুটিয়ে সব কিছু মৌকে বলতে থকল, আর মৌ নিজ হাতে সব  করতে থাকলো। মনাও গোসল সেরে ফেলেছে। তাই মৌ নিজ হাতে ডাইনিং টেবিলে এসে খাবার রেডি করে ফেলল। মৌ মনার রুমের দরজায় গিয়ে  বলল- মৌঃ আসুন আপনার খাবার রেডি। মনাঃ মৌ বল তো আজ কোন পোশাকটা পরে গেলে ভাল হয়? মৌঃ সেটা পরে হবে, আগে খেয়ে নিন। মৌঃ আচ্ছা, চল খেয়ে নি। তাঁরা দুজনে ডাইন