1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

বক ছানা ----খোশবুর আলী

 


বক ছানা

----খোশবুর আলী

অনেকদিন আগের কথা। আমার বয়স তখন আট নয় বছর হবে। আমাদের গ্রামে অনেকগুলি বিশাল বিশাল তেঁতুল গাছ ছিল। সেই গাছগুলিতে নানান প্রজাতির পাখি থাকতো। দল বেঁধে বাস করতো সাদা বক, আর পান কৌড়ি। প্রতিটি ডালে ডালে থাকতো বাঁসা। সারাক্ষন তাদের ডাকে সমস্ত গ্রাম মুখরিতো হয়ে থাকতো।গাছের নিচে খেলা করতাম আমরা । যদিও সেখানে একটি উটকো গন্ধ লাগতো। কিন্তু আমাদের নিয়মিত থাকাতে অনেটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। সেই গাছের নিচে খেলা করারও কিছু কারণ ছিল। খেলার  জন্য যতেষ্ট পরিমান যায়গা ও ছায়া পাওয়া যেত, আর মাঝে মাঝে বকের ছানা অথবা মাছ কুড়িয়ে পাওয়া যেত। সে সময় বড়রা ছোটোদের বেশ শাসন করতো। তাই বড়োদের ভয়ে গাছে উঠে বকের বাচ্চা পাড়ার সাহস আমরা পেতাম না। একদিন আমরা গাছের নিচে খেলা করছি। এর মধ্যে আমার বয়সেরই এক অতি সাহসি ছেলে , আমাদের সকলের অগোচরে কখন যে গাছে উঠেছে আমরা টের পায়নি। হঠাৎ আমরা লক্ষ করলাম গাছের পাখিরা এক সাথে ডেকে উঠলো। আমরা খেলা ছেড়ে উপোরদিকে তাকালাম। ঠিক এমন সময় আমাদের মাঝখানে ধপ করে পড়লো কিছু একটা। দেখালাম একটি ছেলে পড়ে কাঁদছে। ছুটে গেলাম  সবাই। দেখলাম তার একটি হাত ভেঙ্গে গেছে, আর মাথা ও শরীরের কয়েকটি যায়গা দিয়ে হালকা আঁচড়ের দাগ। এবং সেই দাগগুলি দিয়ে রক্ত ঝরছে। আমরা তাকে তুলে বসালাম, ছেলেদের মধ্যে কেউ একজন পুকুর থেকে পানি আনলো, আমরা তার মাথায় পানি ঢাললাম।সে সামান্য সুস্থ্য হলো। তাঁর মা ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ছুটে এসেছে। তাকে নিয়ে গেল কবিরাজের বাড়ি। সেদিন আর আমাদের খেলাধুলা হলোনা, সেই বিষয় নিয়েই গল্প গুজব শুরু হলো। কেউ বলছে- দ্যাখ, নামাবি-না বকের ছা, কেমন মজা বুঝ এবার। কেউ বলছে- যেমন  রাজা তেমন সাজা। কেউ বলছে গাছে ভুত আছে, দিনে দুপুরে একলা পেয়ে গাছ থেকে ফেলে দিয়াছে। কেউ বলছে না-রে বাবা, ভুতটুত কিছু না, বকের ছানা পাড়তে গেলে সব বক মিলে চারিদিক থেকে ঠোঁকাতে শুরুকরে, নখ দিয়ে আঁচড়ে দেয়, তখন গাছের ডাল ছেড়ে বক তাড়াতে গেলে সে পড়ে যায়।আসলে কি ঘটেছিলো সেটি একমাত্র সেই ছেলেটিই ভলো জানে। আমরা তার নিকট হতে জেনেছিলাম পরে। পাখির বাসা থেকে ছানা পাড়তে গেলে ঐ মা পাখিরা জীবনকে তুচ্ছ করে অনেক সময় এভাবেই প্রতিশোধ নিয়ে থাকে।   

--------------------------

বৈদ্যপুর, তানোর, রাজশাহী- ২৭/০৪/২০২১  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে।