1.কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়?  সূচনাঃ-      কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে কাঁঠাল ও কোকাকোলার মধ্যে কী কী আছে? তাই চলুন নিচের টেবিল থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই, কাঁঠালের মধ্যে কী কী আছে।  প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)- কাঁঠাল এর পুষ্টিমান  শক্তি ৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)                                                       শর্করা চিনি ১৯.০৮ g খাদ্য তন্তু ১.৫ g স্নেহ পদার্থ ০.৬৪ g প্রোটিন ১.৭২ g                                                       ভিটামিন ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা-ক্যারোটিন লুটিন জিয়াক্সানথিন ১% - ৫ μg১% ৬১ μg - ১৫৭ μg থায়ামিন (বি ১) ৯%- ০.১০৫ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি ২) ৫%- ০.০৫৫ মিগ্রা নায়াসিন (বি ৩) ৬%-০.৯২ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫ ) ৫%-০.২৩৫ মিগ্রা ভিটামিন বি ৬ ২৫%-০.৩২৯ মিগ্রা ফোলেট (বি ৯) ৬%-২৪ μg ভিটামিন সি ১৭%-১৩.৮ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%-০.৩৪ মিগ্রা                                                           খনিজ ক্যালসিয়াম ২%-২৪ মিগ্রা লৌহ ২%-০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৮%-২৯ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ২%-০.০৪৩ মিগ্রা ফসফর

হাযরাত মুসা আলাইহি ওসসাল্লাম এর জীবনি

ইসলাম ডেস্ক।। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)- বর্ণনা করেন, যখন হযরত মূসা (আঃ) এর জন্মগ্রহনের সময় হলো তখন তাঁর মাতা একজন দাত্রীকে ডাকলেন। এই দাত্রী সেই দাত্রীদের অন্যতম, যাদেরকে ফেরাউনের লোকেরা নিযুক্ত করে রেখেছিল। যে বাড়িতে কোনো শিশুর জন্ম হতো, তাদের কাজ ছিল ফেরাউনের লোকদেরকে নবজাত শিশুর জন্মের সংবাদ দেওয়া। এ খবরের ভিত্তিতেই ফেরাউনের ঘাতক বাহিনী এসে নবজাত শিশুকে হত্যা করতো। কিন্তু এ ধাত্রীটির সঙ্গে মূসা (আঃ) এর জননীর অন্তরঙ্গতা ছিল। যথাসময়ে প্রসব বেদনা আরম্ভ হলে তাকে ডাকা হয়। সে আসলে হযরত মূসা (আঃ) এর -মাতা তাকে বলেন, আমার যে এ অবস্থা, তা তুমি জান, তবে তোমার বন্ধুত্বের দ্বারা আমি উপকৃত হতে চাই, ধাত্রী তার দায়িত্ব পালন করলো। হযরত মূসা (আঃ) এর মায়া মহাব্বত দ্বারা তার অন্তর পরিপূর্ণ হলো। তখন ধাত্রীর হাতে হযরত মূসা (আঃ) জন্ম গ্রহণ করলেন। ধাত্রী তাকে কোলে নিলো। মূসা (আঃ)-এর চক্ষুদ্বয়ের মাঝখান দিয়ে একটি নূর বের হয়। এ দৃশ্য দেখে ধাত্রী অত্যন্ত বিস্মিত হলো, তার দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কম্পমান হলো। আর হযরত মূসা (আঃ) এর মায়া মহাব্বত দ্বারা তার অন্তর পরিপূর্ণ হলো। তখন ধাত্রী হযরত মূসা (আঃ) এর মাকে বলল, আমাকে যখন ডাকা হয় এবং আমি তোমার নিকট আসি, তখন আমার পিছনে তোমার সন্তানের ঘাতকরা ছিল।

অর্থাৎ, আমার ইচ্ছা ছিল জন্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ঘাতকদের হাতে অর্পণ করবো; কিন্তু এখন আমার অন্তরে তোমার সন্তানের জন্য এমন মায়া সৃষ্টি হয়েছে যে, জীবনে এমন মায়া আমি কারো জন্য উপলব্ধি করিনি। এজন্যে আমি বলছি, তোমার পুত্রের হেফাজত করো! এরপর যখন ধাত্রী হযরত মূসা (আঃ) এর গৃহ থেকে বের হচ্ছিল তখর ফেরাউনের একজন গোয়েন্দা তাকে দেখে ফেলেছিল। তারা সঙ্গে সঙ্গে সেই গৃহদ্বারে উপস্থিত হলো এবং ঘরে প্রবেশ করতে চাইলো। তখন হযরত মূসা (আঃ) এর ভগ্নি দ্রুত এসে তার মাতাকে খবর দিল যে সৈন্যবাহিনী এসে পড়েছে এবং তারা ভিতরে প্রবেশ করতে চায়। তখন হযরত মূসা (আঃ) এর বোন তাকে কাপড়ে জড়িয়ে চুলোয় নিক্ষেপ করলো, সে বুঝতেই পারেনি যে সে কি করছে। এরই মধ্যে সৈন্যরা ভিতরে প্রবেশ করলো, চুলোয় আগুন জ্বলছিল হযরত মূসা (আঃ) এর মাতার চেহারায় কোনো ভাবান্তর হলো না। সৈন্যরা জিজ্ঞাস করলো, ধাত্রী কেন এখানে এসেছিল ? তিনি বললেন সে আমার বান্ধবী, আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। এরপর তারা ফিরে গেল। তখন চুলোর কাছে গিয়ে মা দেখলেন, এরই মধ্যে চুলোর আগুন নিভে গেছে এবং শিশু মূসা নিরাপদে রয়েছেন, তিনি তাকে কোলে তুলে নিলেন।


কিছু দিন ফেরাউনের সৈন্যরা ঘরে ঘরে শিশু সন্তানের অনুসন্ধান করতে লাগল, তখন তিনি তার পুত্রের ব্যাপারে ভীত হয়ে পড়লেন। ঐ সময় আল্লাহ পাক তার অন্তরে ইলহাম করলেন যে শিশুটিকে একটি কাষ্ঠ নির্মিত বাক্সে রেখে নীলনদে ভাসিয়ে দাও। এ ঘটনার বিবরণ পবিত্র কুরআনে এভাবে বিকৃত হয়েছে-
অর্থ- আমি মূসা-জননীর নিকট এ প্রত্যাদেশ করলাম যে, তাকে সাগরে নিক্ষেপ কর, তথা নীলনদে ভাসিয়ে দাও। হযরত মূসা আঃ এর মাতার অন্তরে এ ধারনা আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এক কাঠ মিস্ত্রিকে বাক্স তৈরীর নির্দেশ দিলেন। লোকটি বলল, এমন বাক্সের তোমার কি প্রয়োজন? তখন মূসা (আঃ)-এর জননী মিথ্যা বলেননি। তিনি

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিধাতা রাখিও তাঁরে সুখে।